Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2020

প্রত্যাবর্তন

প্রত্যাবর্তন আজ আমার ছাত্রী রিমির বিয়ে। বাসায় গিয়ে পড়াতাম একটানা ৫ বছর। এখন অর্নাস সেকেন্ড ইয়ার। ছেলে বিসিএস ক্যাডার। হাতছাড়া করেনি পরিবার। রিমি ছোট্র একটা মেসেজ দিয়েছে আমাকে,,,,এই বিয়েতে আমার মত নেই। আমি আর কি বলবো।  ভালো কোন পাঙ্জাবিও নেই আমার। মেসমেট জহিরের পাঙ্জাবিটা নিয়ে গায়ে চাপালাম। খুব যে মানিয়েছে তা বলা যাবেনা। চশমা খুজছি। চোখে দিলাম।  যখন ওদের বাড়িতে গেলাম,দেখলাম ৪ তলা বাড়িটা নিয়ন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়িতে কতশত মেহমান। ধনীদের সাথে নিজেকে মানানোটা বড্ড কঠিন। রাত প্রায় ১০ টা বাজতে চলল।  ক্ষুধা লেগেছে একটু। এক টেবিলের কোনে বসলাম।  হঠাৎ রিমি এসে আমার হাত ধরেছে,,,,কুৃত্তার বাচ্চা আমারে অন্য ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তুই গিলছিস।  ওঠ আজকে তোরে খুন করবো।  এই রিমিকে আমি কখনও দেখিনি,,,শুনেছি বড্ড রাগী।  আমিতো অবাক,,,রিমির সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক নাই।  আমি বললাম,,,কি বলছো এসব তুমি। আমি কি করলাম। থামো রিমি, বাড়ি ভর্তি মেহমান। এই কুত্তা তুই জানিস না আমি তোরে পছন্দ করি।  আমি তোকে ছাড়া বাচবোনা। তুই আমাকে কখনও বুঝেছিস। এই ছুড়ি দিয়ে আজ তোরে আমি খুন করবো। ততক্ষনে বাড়ির সব মেহমান চলে এসেছে। র...
স্টুডেন্টের বড় বোন আমার সামনে এককাপ চা আর দুটি বিস্কুট টেবিলের উপর রেখে চলে গেলেন। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় বাসায় চলে আসছে। যেমন রূপবতী ঠিক তেমন গুণবতীও বটে। -আজকের চা সত্যিই দারুণ হইছে। আজকে চা কে করলেন? (স্টুডেন্টের উদ্দেশ্যে) - স্যার আজকে আম্মু বাসায় নাই। তাই আজকে আপুই চা করছে। - মাশাল্লাহ, তার রান্নার হাত ভালো। এরপর থেকে তাকেই চা করতে বলবা, যতদিন সে এই বাসায় আছে।  ভেতর থেকে স্টুডেন্টের বোন- লাভ নাই, রান্নার হাত দেখানো যাবে না। কি বাজে অবস্থার মধ্যেই না পড়লাম। লজ্জায় স্টুডেন্টের দিকে তাকাতে পারছিনা। - স্যার চা খান, ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। - আচ্ছা! আর তুমি দ্রুত লেখা শেষ কর। আজকের পর থেকে তোমার দুই/তিন ঘন্টার আগে ছুটি নাই। সুন্দরী বোন থাকলে এক ঘন্টার যায়গায় দুই/তিন ঘন্টা পড়ালেও লোকসান নাই। প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টের বোনের হাতের চা খেয়ে যাচ্ছি, আর স্টুডেন্টকে দুই/তিন ঘন্টা করে পড়াচ্ছি। বাহ! আজকে দেখছি চা-বিস্কুটের সাথে নুডলস ও দিয়েছে। নুডলস আমার পছন্দের খাবারের একটি। - স্যার নুডলস কেমন হইছে? - মাশাল্লাহ! অনেক সুস্বাদু। - স্যার আজকে বাসায় মেহমান আসাতে নুডলস করা হইছে। মেহমানদের দেওয়ার পরে যেটুকু অবশিষ...

কাঁচের_পুতুল (কাল্পনিক) #রিপোস্ট #লিখা- Nusrat Khan Ani

- তোমার শ্বশুর মনে হয় তোমার দিকে কুনজর দেয়, তাই না মাধবী? শাফিন কে চা দিয়ে তাড়াহুড়ো করে শাড়ির আঁচলে হাত মুছতে মুছতে রান্নাঘরের দিকে ছুটে যাচ্ছিলাম আবার,কিন্তু থমকে গেলাম শাফিনের উদ্ভট প্রশ্ন শুনে। পেছন ফিরে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম, - মানে? কিসব আবোলতাবোল বলতেছো? চায়ের কাপে দ্বিতীয় চুমুক দিয়ে শাফিন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো, - নাইলে দুপুরবেলা সবার প্লেটে ভাত তুলে দিতে পারছো,শুধু বাবার প্লেট ছাড়া। কেন? আমার বাপের সামনে যাইতে কি তোমার অস্বস্তি হয়? - ওমা! বাবা-ই তো বললেন,উনি নিজের হাতে নিতে পারবেন। তাই আমিও... আমার পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই চায়ের কাপটা টেবিলের উপর ধাম করে রেখে শাফিন চেঁচাতে শুরু করলো, - এই থামো তো। বিয়ের পর থেকে দেখতেছি,আমার বাপ-মা'রে তো তুমি মানুষ হিসাবেই গণ্য করো না। কতবার বলছি না,আমি আমার বাপ-মা'র অপমান সহ্য করতে পারি না একদম? - তুমি এইভাবে কেন কথা বলতেছো শাফিন? কি করছি আমি? বাবা তো সবসময় ই নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন।আমি কিছু করতে গেলে বিরক্ত হন। তারপরও তোমার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জোর করে বাবার অনেক কাজ করে দিই। এজন্য বাবা আমার প্রতি অসন্তুষ্ট থাক...

রমাদান_রুটিন

রমাদান_রুটিন পুরো রমজান হয়তো ঘরে বসেই কাটাতে হবে । অন্যভাবে দেখলে এরকম রমজান জীবনে আর নাও পেতে পারি । হ্যা, আমরা চাইলেই খুব খারাপ এ সময়টাকে বাকি জীবন আর মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য সেরা সুযোগ হিসেবে নিতে পারি ।  সহীহ হাদিসে নবী সা: বলেছেন, আল্লাহর অভিশাপ তার উপর, রমজান চলে গেল অথচ যে ক্ষমা নিতে পারলো না ।  আসুন একটা রুটিন করে ফেলি । পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য তো কম রুটিন করি নাই, আসলে টার্গেট ছাড়া কিছুই অর্জন হয় না । আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি, পছন্দ না হলে আপনি আপনার মত শোধরে নিবেন । তবুও এমন যেন না হয় কোন টার্গেট ছাড়া ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে একটা রমজান চলে গেল । ব্যক্তিগত : ১. সুরা ফীল থেকে নাস । আমরা সবাই কম বেশী জানি । কিন্তু শুদ্ধ উচ্চারণ আর বাংলা অর্থ জানি না, এমন সংখ্যাটাই আমাদের মাঝে বেশী। এ কারণেই আমরা নামাজের মজাটা পাই না । মন দৌড় দেয় এদিক সেদিক ।  ২. AlQuran(Tafsir & by Word) । খুব ভাল একটা অ্যাপস । আজই নামিয়ে নিন । এই রমজানে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট হলেও অর্থ সহ কোরআন পড়বো । প্রতিদিন দশটা করে হাদিস পড়বো । অ্যাপস নামিয়ে বুখারী দিয়ে শুরু করি । Bangla Hadith খুব ভাল একটা অ্যাপ...

মেয়ে #আবুল_বাশার_পিয়াস

আমি মেয়ে হয়ে এত দূরে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবো সেটা আমার পরিবার সহজে মেনে নিলেও  আমার আশেপাশের মানুষ আত্বীয়- স্বজন বিশেষ করে আমার চাচা-চাচী একদম মেনে নিতে পারে নি। সেদিন বিকালে বড় চাচা বাবাকে রুমে ডেকে বললো,   ~শুনলাম তুই না কি তোর মেয়েকে ময়মনসিংহে ভর্তি করিয়েছিস?  বাবা হাসি হাসি মুখে চাচাকে বললো, - হ্যাঁ ভাইজান, তুমি তো জানোই শ্রাবণী ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।  তাই ওখানেই ওকে ভর্তি করিয়েছি।    চাচা মুখটা গম্ভীর করে বললো, ~তা তোর মেয়ে থাকবে কোথায়?  বাবা বললো, - কোথায় আর,  হোস্টেলেই থাকবে।  চাচা কিছুটা রেগে গিয়ে বাবাকে বললো,   - আমাদের বংশের কোনো মেয়ে  একা একা হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করে নি।  আমারও তো মেয়ে আছে। আমার মেয়েকে তো আমাদের গ্রামের ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি। তোর মেয়ের এত পড়াশোনার শখ যেহেতু, সেহেতু আমাদের গ্রামের ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারতি!  বাবা মুচকি হেসে চাচাকে বললো,   - তোমার মেয়ে এতটা ভালো ছাত্রী ছিলো না তাই ডিগ্রিতে ভর্তি করিয়েছো।  চাচা বাবার কথা শুনে আরো রেগে গিয়ে বললো,   ~মেয়ে তোর, এখন তুই মেয়েকে ঘরে রাখবি না কি বাংলা  বাজারে ছেড়ে দিবি এটা ত...
একটি বিয়ের গল্প ...  দুহাত ভরা মেহেদি ত্রপার হাতে । বাড়িতে পুরা সাজ সাজ রব । সব আত্মীয় স্বজন এসে পড়েছে । পরিবেশটার মধ্যেই যেন কেমন আনন্দ আনন্দ ভাব । ত্রপা ওর হাতের দিকে তাকিয়ে আছে । ওর বড় বোন খুব যত্ন করে ওর হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছে । আগে মেহেদি দিলেই ত্রপার চিন্তা হতো মেহেদি বেশি লাল হবে তো ? কিন্তু আজ মেহেদি এতো লাল হয়েছে তবুও ত্রপার মনে কোন আনন্দ নেই । সামনে দুইটা শাড়ি । একটা লাল আর একটা গারো নীল । সবাই বলছে লাল শাড়ি পরতে কিন্তু ত্রপার ইচ্ছা করছে নীলটা পরার । হয়তো নীলের মধ্যে আলাদা কোন আকর্ষণ আছে ওর । ৪ সেট গয়নার বাক্স সামনে পরে আছে । কাজিনরা সবাই দেখছে কোনটা পড়লে বেশি ভালো লাগবে ওকে । কিন্তু ত্রপার যেন কিছুতেই খেয়াল নেই । কি যেন ভাবছে ও । বুঝছো বালিকা অনেক ভেবে দেখলাম তোমাকে বিয়ের দিন নীল শাড়িতেই বেশি সুন্দর লাগবে । দুহাত ভরা চুড়ি থাকবে । এই তুমি কিন্তু বেশি সাজবা না । এমনেই এতোগুলা সুন্দর তুমি পরে বিয়ের দিন তোমার ক্রাশ লিস্ট বেড়ে যাবে, বলতে বলতে হাসতে থাকে নিভৃত । যাহ কি যে বলেন না আপনি, বিয়ের দিন কেউ নীল পড়ে ? আমি তো ভাবছি বিয়ের দিন লাল পড়বো আর বউ ভাত এর দিন পড়বো সাদা গাউন । কেমন ...
স্বামীর সংসারে বেশ সুখে আছি।অনেক দায়িত্বশীল অামার স্বামী।আমি যখন মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন আমার স্বামী আমার কেয়ার করে,তখন মনে হয় আমি সবচেয়ে সুখী নারী।উনি কেয়ার করা থেকে তার শাসন আমার কাছে খুব ভালো লাগে।রেগে গিয়ে যখন বলে-"এখনো কি তুমি বাচ্চা নাকি যেই ঔষুধ খেতে মন চায় না?আমার স্বামী অামার কাছে অনেক প্রিয় তবে অদৌ কি অাল্লাহর কাছে উনি প্রিয় নাকি?উনার একটা অভ্যাস ছিলো উনি রমজানে সব রোজা রাখতো না ৩০ রমজানে উনি ১০,১২ টা রোজা রাখতো আর বাকিগুলো অাদায় করতো না।প্রতিবার উনি এমন করে আমি লজ্জায় কিছু বলি না।এবার রমজানেও সেই এমন করতেছে।গতকাল কাজ শেষ করে দুপুরে এসে সেই লুকিয়ে খাবার খেয়েছে।যদিও বেশি কিছু খায় না ফল আর পানি পান করে। . আমার স্বামীর এই কাজটা আমার পছন্দ না।আমার খুব কষ্ট লাগে,যখন লজ্জায় তাকে কিছু বলতে পারি না।আমার এক বড়অাফু ছিলো উনি হাফেজা।আমি এই বিষয়ে অাফুর সাথে অালোচনা করছি।আফু আমাকে মুচকি হাসি দিয়ে বলে- . _শুনো পারু,এটা তোমার দায়িত্ব।তুমি তাকে অাল্লাহর ভয় দেখাও।হয়তো সেই ভুল বুঝতে পারবে।আর তুমি জানো না স্বামী-স্ত্রী অামল যদি ঠিক হয় তাহলে জান্নাতেও তারা একসাথে থাকবে।নিশ্চয় অাল্লাহ্ ত...
কিছুদিন পরে ইন্টারের পরীক্ষা এইদিকে আব্বা সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমাকে নাকি বিয়ে করিয়ে দিবে তাও আবার নিজের বন্ধুর মেয়ের সাথে,মেয়েটা আমার থেকে এক বছরের বড়।ফারিয়া অাপু অনেক সুন্দর তাই বলে এই না আমার থেকে এক বছরের বড় একটা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে।এইদিকে আব্বা বিয়ের সব অায়োজন শুরু করছে মানে কেনাকাটা করা শুরু করে দিয়েছে অলরেডি।আব্বা যখন খাবার টেবিলে খেতে আসে তখন সুযোগ পাই কারণ খাওয়ার সময় আব্বার মাথা ঠাণ্ডা থাকে,আমি বিরহবেদনা কণ্ঠে বলি- . _আব্বা একটা কথা বলি? _হ্যাঁ বল। _এই সময় বিয়েটা না করলে হয় না? _কেন এখন কি সমস্যা? _না সামনে ইন্টারের পরীক্ষা এখন বিয়ে করলে পড়ালেখার সমস্যা হবে। _আরে কোনো সমস্যা নাই বিয়েতো দুই দিনের মধ্যেয়ে শেষ হয়ে যাবে। . আমার আব্বা কোনো মতে রাজি হচ্ছে না সেই আমাকে বিয়ে করাবে করাবে।কিন্তু মেয়েটা আমার থেকে বড় তাই আব্বাকে শেষবারের জন্য বলি- . _আব্বা আরেকটা কথা বলি? _হ্যাঁ বল? _ফারিয়া অাপু'তো আমার থেকে এক বছরের বড়। _এই বেয়াদব ফারিয়া বল,আপু কেন বলিস সে তোর বৌ হবে কিছুদিন পরে।আর তোর মায়ের থেকেও তো আমি দশ বছরের বড় তাতে তো কোনো সমস্যা হয় নাই তাহলে তোর কি সমস্যা? _আব্বা মেয়েরা সবসময়...
প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। রাতের খাবারটা খেয়ে আসা উচিত ছিল। সাথে মানিব্যাগটাও আনিনি। ঘটনার সূত্রপাত  সন্ধ্যায়। ড্রইংরুমে  বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ দেখি পূরোবাসা জুড়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে। ভাবলাম আম্মু হয়তো কোন কারনে আব্বুর উপর রেগে গেছেন। আর এটা তো নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্তু পরক্ষণেই দেখলাম ছোট বোন প্রায় উড়তে উড়তে আমার রুম থেকে বের হয়ে আসছে। কোনমতে আমার সামনে এসে বলল ভাইয়া!! ভাইয়া তোর মোবাইল!! আমার ভিতরটা ধক করে উঠল। গত সপ্তাহে মাত্র মোবাইল কিনেছি একবছরের জমানো টাকা দিয়ে। আমি বললাম কি হয়েছে আমার মোবাইল??? ভেঙে ফেলেছিস???ছোটবোন কিছু বলতে যাচ্ছিল। তার আগেই দেখলাম আম্মু রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। -রাফিদ, তোকে যা যা জিজ্ঞেস করবো সত্য বলবি। নীলা কে?? আমি অনুভব করলাম,বুকের বাঁ পাশটা কেমন যেন চিনচিন করছে। -বল,নীলা কে?? _কেন?? কী হয়েছে নীলার?? -কিছুই হয়নি। একটু আগে তোর মোবাইলে কল এসেছিল। আমি রিসিভ করে বললাম, “আমি রাফিদের আম্মু”।ওপাশ থেকে বলল “আন্টি, আমার নাম নীলা, আমি রাফিদের গার্লফ্রেন্ড ।“ আমি বুঝতে পারছি, আমার হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। -রাফিদ,দুইটা অপশন। হয়তো ...
বিকাল পাঁচটা।বাসার সবার থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে পড়লাম।গন্তব্য মাদ্রাসা।গতকাল তারাবীহ’র পর বাসায় এসেছিলাম সবার সাথে দেখা করার জন্য।মাদ্রাসা দূরে হওয়ায় তারাবীহ’পড়িয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া সম্ভবপর হয়ে উঠেনা।তাই বৃ্‌হঃস্পতিবার তারাবীহ’পড়িয়ে বাসায় আসি,এবং শুক্রবার আছর পড়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাই।ইফতার আম্মু সাথে দিয়ে দেন।কিন্তু আজ আম্মু অসুস্থ থাকায় ইফতার দিতে পারেননি। বাসা থেকে বের হয়ে চিন্তা করলাম,যেহেতু পথিমধ্যে ইফতার এর সময় হয়ে যাবে,তাই ইফতার নিয়ে নেওয়া দরকার। ভেবে চিনতে গ্রীল আর রুটি নিয়ে নিলাম।কুড়িল নেমে ঘড়িতে দেখলাম মাগরিব এর আজান এর আর পাঁচ মিনিট বাকি।ভাবলাম ইফতার করে আবার রওয়ানা হবো। ইফতার হাতে নিয়ে পাবলিক বেঞ্চে বসে আছি।কেমন যেন ইতস্থ বোধ হচ্ছে।মনে পড়ল,পানি আনতে ভুলে গেছি।মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।পানি ছাড়া ইফতার করা যায়?নিজেকে গালাগাল করতে করতেই পাশে তাকালাম,এবং যা দেখলাম তা কখনো ভুলবার নয়। চল্লিশোর্ধ একজন মহিলা রাস্তায় ছেঁড়া তেরপলে বসে আজানের অপেক্ষা করছে।তার সামনেও রয়েছে ইফতার।তবে তা আমার মত পেটপূজারীর বিলাসী ইফতার নয়।তা হচ্ছে পুরনো বোতলে এক বোতল পানি!!!!দূর মাসজিদ থেকে আযানে...
#আদর্শ_বাবা ( সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) আজকে দুপুরে নাবিল চৌধুরীর অফিসে যাওয়ার কথা আছে। গত শুক্রবার পার্কে নাবিল চৌধুরীর সাথে পরিচয়। লোকটা আমার চেয়ে বয়সে ছোটই হবে। পরিচয় পর্ব শেষে অনেক জোর করে আমার কাছ থেকে কথা নিয়েই ছাড়লেন একদিন উনার অফিসে গিয়ে লাঞ্চ করার জন্য। এতো করে বলছিলেন যে আমিও কথা না দিয়ে পারলাম না। গতকালকেই ফোন দিয়ে বলেছিলাম আজকে ফ্রী আছি। নাবিল চৌধুরী বললেন আর কোন কথাই নাই দুপুরে তাহলে চলে আসেন। একসাথে লাঞ্চ করতে করতে অনেক গল্প করবো। একটা সাদা প্যান্ট আর নীল শার্ট পরে বের হলাম। অফিস টা নিকেতনে তাই রিকশা নিলাম। আমার আবার বেড়াতে গেলে রিকশা করে যেতেই বেশি ভালো লাগে। রাস্তা ফাঁকা তাই ৩০ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম। খুব সুন্দর গোছানো একটা অফিস। সবাই যার যার ডেস্কে বসে কাজ করছে। ঢুকতেই এক পাশে বড় করে টানানো দুইটা ছবি। একটা নাবিল চৌধুরীর আর একটা ছবির নিচে লেখা নাজিম চৌধুরী (জন্ম-১৯৪০-মৃত্যূ ২০১০)। উনি নিশ্চয়ই নাবিল চৌধুরীর বাবা। আমি রিসিপশনে গিয়ে পরিচয় দিতেই। রিসিপশনে বসা মেয়েটা বললো ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসুন। স্যার নিজেই আসবেন আপনাকে নিতে। কয়েক মিনিট পরই নাবিল চৌধুরীর আগমন...
#আনন্দ_অশ্রু ঘটনাটা আজ থেকে কয়েকমাস আগের। মর্নিং ওয়াক এ পার্কে যেতেই দেখি একজন মহিলা বসে বসে কাঁদছে। খুবই কৌতুহল নিয়ে কাছে গেলাম। দেখে মনে হলো খুব তৃষ্ণার্ত। হাতে থাকা পানির বোতলটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম বোন পানিটা খেয়ে নিন। মহিলাটি কোন ইতস্তত বোধ না করে বোতলের পুরো পানিটা পান করলো।  - ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। কাঁদতে কাঁদতে গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছিলো। - কাঁদছিলেন কেন? কোন কিছু হারিয়ে গেছে? - কোন কিছু হারিয়ে যায়নি ভাই, নিজেকেই নিজে হারিয়ে ফেলেছি। আমি বুঝতে পারলাম মহিলাটির মনে অনেক কষ্ট জমে আছে। কাউকে হয়তো শেয়ার করার জন্যও পাচ্ছে না। এইজন্য পার্কে বসে বসে কাঁদছে। কত ধরনের মানুষ যে এই পার্কে আসে। মহিলার ব্যপারে জানতে আমার খুব আগ্রহ হলো। - আমাকে কি খুলে বলা যায় বোন? - এসব বলে আর কি লাভ ভাই? - কোন ক্ষতি তো নেই। তাছাড়া একটা লাভ হবে। - কি লাভ হবে?  - কষ্ট কারো সাথে শেয়ার করলে মনটা অনেক হালকা হয়। - তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। কিন্তু আমি এমনি অভাগী মেয়ে জীবনের কোন কিছু শেয়ার করার মতো কেউ নেই আমার। - ভাই হিসেবে আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন। - শোনেন তাহলে। আমার বাড়ী টাঙ্গাইলে। নাম ফাতেমা। ট...

গল্প ঃমায়া ~যাকারিয়া হাসান

রিফাত জানালার ধারে বসে আছে। বিকেলের বাতাস টা ভালোই লাগছে। নিচতলার মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। রিফাতের ওয়ার্ড চারতলায় হওয়ায় আশপাশের দৃশ্য ভালোই দেখা যায়। হঠাৎ নার্স এসে কেবিনে ঢুকলো। -কি খবর!কেমন আছ রিফাত? _এইতো ভালো।কয়েকদিন যে দেখলামনা আপনাকে? -আম্মু খুব অসুস্থ, তাই ছুটি নিয়েছিলাম। _এখন কি অবস্থা? -কিছুটা ভালোর দিকে। রিফাতের মনটা খারাপ হয়ে গেল।রিফাত এই  হাসপাতালে ভর্তি দুইমাস যাবত।এর মধ্যে কতরোগীকে সে ভর্তি  হতে দেখেছে।কেউতো শয্যাশয়ীও ছিল। কিন্তু ভাগ্যের লিখন! তাদের প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে আপন নীড়ে। এখন রিফাতের  ওয়ার্ডটাকে প্রায় খালি বলা যায়। এতে অবশ্য রিফাত খুশি। এখন মন চাইলে অন্য বেডে যেয়ে বসা যায়। আম্মু  কিছু বললে রাগ করে অন্য বেডে শুয়ে থাকা যায়। -রিফাত,নাস্তা কি খাবি বাবা? _আজকে কিছু খাবনা মা,ভাল লাগছেনা। -বাবা,প্রতিদিন তুই বিকালের নাস্তা নিয়ে জ্বালাতন করিস।বলনা কি খাবি? _আমি যখন থাকবনা,তখন আর কেউ তোমাকে জ্বালাতন করবেনা।তুমি বিকালে নাস্তা এনে ডাকাডাকি করবে।কিন্তু দেখবে,রিফাত আর তোমার ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা। শাহেদা বেগম চুপ করে বসে আছেন। রিফাত অসুস্থ হওয়ার পর প্রায...

অনুগল্প: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক

স্বামীর সংসারে বেশ সুখে আছি।অনেক দায়িত্বশীল অামার স্বামী।আমি যখন মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন আমার স্বামী আমার কেয়ার করে,তখন মনে হয় আমি সবচেয়ে সুখী নারী।উনি কেয়ার করা থেকে তার শাসন আমার কাছে খুব ভালো লাগে।রেগে গিয়ে যখন বলে-"এখনো কি তুমি বাচ্চা নাকি যেই ঔষুধ খেতে মন চায় না?আমার স্বামী অামার কাছে অনেক প্রিয় তবে অদৌ কি অাল্লাহর কাছে উনি প্রিয় নাকি?উনার একটা অভ্যাস ছিলো উনি রমজানে সব রোজা রাখতো না ৩০ রমজানে উনি ১০,১২ টা রোজা রাখতো আর বাকিগুলো অাদায় করতো না।প্রতিবার উনি এমন করে আমি লজ্জায় কিছু বলি না।এবার রমজানেও সেই এমন করতেছে।গতকাল কাজ শেষ করে দুপুরে এসে সেই লুকিয়ে খাবার খেয়েছে।যদিও বেশি কিছু খায় না ফল আর পানি পান করে। . আমার স্বামীর এই কাজটা আমার পছন্দ না।আমার খুব কষ্ট লাগে,যখন লজ্জায় তাকে কিছু বলতে পারি না।আমার এক বড়অাফু ছিলো উনি হাফেজা।আমি এই বিষয়ে অাফুর সাথে অালোচনা করছি।আফু আমাকে মুচকি হাসি দিয়ে বলে- . _শুনো পারু,এটা তোমার দায়িত্ব।তুমি তাকে অাল্লাহর ভয় দেখাও।হয়তো সেই ভুল বুঝতে পারবে।আর তুমি জানো না স্বামী-স্ত্রী অামল যদি ঠিক হয় তাহলে জান্নাতেও তারা একসাথে থাকবে।নিশ্চয় অাল্লাহ্ ত...