স্টুডেন্টের বড় বোন আমার সামনে এককাপ চা আর দুটি বিস্কুট টেবিলের উপর রেখে চলে গেলেন। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় বাসায় চলে আসছে। যেমন রূপবতী ঠিক তেমন গুণবতীও বটে।
-আজকের চা সত্যিই দারুণ হইছে। আজকে চা কে করলেন? (স্টুডেন্টের উদ্দেশ্যে)
- স্যার আজকে আম্মু বাসায় নাই। তাই আজকে আপুই চা করছে।
- মাশাল্লাহ, তার রান্নার হাত ভালো। এরপর থেকে তাকেই চা করতে বলবা, যতদিন সে এই বাসায় আছে।
ভেতর থেকে স্টুডেন্টের বোন-
লাভ নাই, রান্নার হাত দেখানো যাবে না।
কি বাজে অবস্থার মধ্যেই না পড়লাম। লজ্জায় স্টুডেন্টের দিকে তাকাতে পারছিনা।
- স্যার চা খান, ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
- আচ্ছা! আর তুমি দ্রুত লেখা শেষ কর। আজকের পর থেকে তোমার দুই/তিন ঘন্টার আগে ছুটি নাই।
সুন্দরী বোন থাকলে এক ঘন্টার যায়গায় দুই/তিন ঘন্টা পড়ালেও লোকসান নাই।
প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টের বোনের হাতের চা খেয়ে যাচ্ছি, আর স্টুডেন্টকে দুই/তিন ঘন্টা করে পড়াচ্ছি।
বাহ! আজকে দেখছি চা-বিস্কুটের সাথে নুডলস ও দিয়েছে। নুডলস আমার পছন্দের খাবারের একটি।
- স্যার নুডলস কেমন হইছে?
- মাশাল্লাহ! অনেক সুস্বাদু।
- স্যার আজকে বাসায় মেহমান আসাতে নুডলস করা হইছে। মেহমানদের দেওয়ার পরে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তার মধ্যে বিড়াল মুখ দিয়ে দিছে। আপু সবটুকু নুডলস আপনার জন্য রেখে দিছে।
লিখা: MahfUzur RahAman
Comments
Post a Comment