Skip to main content
#আদর্শ_বাবা ( সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)

আজকে দুপুরে নাবিল চৌধুরীর অফিসে যাওয়ার কথা আছে। গত শুক্রবার পার্কে নাবিল চৌধুরীর সাথে পরিচয়। লোকটা আমার চেয়ে বয়সে ছোটই হবে। পরিচয় পর্ব শেষে অনেক জোর করে আমার কাছ থেকে কথা নিয়েই ছাড়লেন একদিন উনার অফিসে গিয়ে লাঞ্চ করার জন্য।
এতো করে বলছিলেন যে আমিও কথা না দিয়ে পারলাম না।
গতকালকেই ফোন দিয়ে বলেছিলাম আজকে ফ্রী আছি।
নাবিল চৌধুরী বললেন আর কোন কথাই নাই দুপুরে তাহলে চলে আসেন। একসাথে লাঞ্চ করতে করতে অনেক গল্প করবো।

একটা সাদা প্যান্ট আর নীল শার্ট পরে বের হলাম। অফিস টা নিকেতনে তাই রিকশা নিলাম। আমার আবার বেড়াতে গেলে রিকশা করে যেতেই বেশি ভালো লাগে। রাস্তা ফাঁকা তাই ৩০ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম।
খুব সুন্দর গোছানো একটা অফিস। সবাই যার যার ডেস্কে বসে কাজ করছে।
ঢুকতেই এক পাশে বড় করে টানানো দুইটা ছবি।
একটা নাবিল চৌধুরীর আর একটা ছবির নিচে লেখা নাজিম চৌধুরী (জন্ম-১৯৪০-মৃত্যূ ২০১০)।
উনি নিশ্চয়ই নাবিল চৌধুরীর বাবা।
আমি রিসিপশনে গিয়ে পরিচয় দিতেই। রিসিপশনে বসা মেয়েটা বললো ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসুন। স্যার নিজেই আসবেন আপনাকে নিতে। কয়েক মিনিট পরই নাবিল চৌধুরীর আগমন।

-- আস্ সালামু আলাইকুম। কেমন আছেন। আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
-- ওয়া আলাইলকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি কেমন আছেন?
-- আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আসেন আমার রুমে যাই। 

নাবিল সাহেবের রুমে ঢুকলাম। রুমে ঢুকেই দেখলাম টেবিলে সাজানো নানা পদের খাবার। 
-- এতো আয়োজন কেন? এসব একটু বেশিই হয়ে গেল না।
-- আরে না। আপনি প্রথমবার আসছেন তাই একটু.... আচ্ছা বসেন।
-- আচ্ছা আপনি গল্প শোনাবেন বলেছিলেন।
-- হ্যা আপনি খাওয়া শুরু করুন খেতে খেতে বলছি।
-- নাবিল সাহেব আপনার প্রতিষ্ঠান তো আল্লাহর রহমতে অনেক বড়ো দেখছি।
-- আজকে আমার এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যা দেখছেন সবকিছু আমার বাবার নিজের হাতে গড়া। নিশ্চয়ই ভাবছেন বাবার গড়া প্রতিষ্ঠান আমার তো কোন কষ্টই করতে হয়নি। আমি বাবার একমাত্র সন্তান। তাই উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার সবকিছু আমি পেয়েছি। একথা সত্যি। কিন্তু.....
-- কিন্তু কি নাবিল সাহেব? 
নাবিল সাহেব থেমে যাওয়ায় আমার কৌতুহল বেড়ে গেলো। 
-- বাবা এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়ার আগে আমার একটা পরীক্ষা নিয়েছিলেন।
-- পরীক্ষা! কিসের পরীক্ষা? আমাকে বলুন তো খুব জানতে ইচ্ছে করছে।

-- আচ্ছা সেই গল্পই তাহলে আপনাকে শুনাবো আজকে।

ঘটনাটি ১৯৯৮ সনের, আমি তখন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শহরের সবচেয়ে বড়লোক বাবার একমাত্র সন্তান। লেখাপড়ার প্রতি কোন আগ্রহই ছিলোনা।
সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা মাস্তি। মেয়েদের টিজ করা। বাইক নিয়ে ঘুরাফেরা। হৈ হুল্লোড় বিন্দাস এক লাইফস্টাইল। 
খাওয়া-দাওয়া, চলনে-বলনে, পোশাকে- আশাকে আমার আভিজাত্য বজায় থাকতো। দুই হাতে টাকা পয়সা সমানে উড়াতাম। বাবার কাছে টাকা চেয়ে যদি না পেতাম মায়ের কাছ থেকে নিতাম। কোন কিছুরই অভাব ছিলো না।

একদিন বাসায় ফিরে দেখি, বাবা ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছে।
বাবার একটা গার্মেন্টসে আগুন লেগেছে! তবে বাবা ভেঙে পড়েন নি।
কারণ এর আগেও দুইবার আগুন লেগেছিল। বাবা আবার ব্যবসা ধার করিয়েছেন। আমি কাচুমাচু হয়ে বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগেই বাবা বললো 
-- টাকা লাগবে? 
কারণ বাবা জানতো টাকার জন্যই একমাত্র আমি বাবার সামনে আসি।
নয়তো বাবা সারাদিন আমার টিকিটিও পায়না।
-- ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখে দিবো? তুমি তো আমার একমাত্র সু-পুত্র।
বাবা যে তিরষ্কার করে বলছেন তা আমার আর বুঝতে বাকি রইল না।
এদিকে বাবার চিৎকার- চেঁচামেচি শুনে এর মধ্যে মা ও চলে আসছে। 
-- কি হয়েছে?
-- আমার ছেলেটাকে এভাবে বকছো কেন?
-- না তুমার ছেলে যুদ্ধ জয় করে আসছে তো তাকে কোলে নিয়ে নাচব!
-- এভাবে কথা বলছো কেন?
-- আমি সারাদিন কষ্ট করে টাকা উপার্জন করি আর তোমার ছেলে বন্ধুদের নিয়ে দু'হাতে সেই টাকা উড়ায়! তাহলে ওকে চুমু দেওয়া উচিৎ।
-- আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে।
-- শোন নাবিলের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এমনিতে আসেনি। এর জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এই সম্পত্তির দা‌য়িত্ব নিতেও ওকে নিজেকে যোগ্য হত হবে। 
-- ওর আর এখন কি বয়স? এই বয়সে ও কাজ করবে নাকি?
-- এই বয়সে ও যেরকম উচ্ছৃঙ্খল জীবন- যাপন করছে এসব এখন বন্ধ করতে না পারলে পরে আর পারা যাবে না। কারন মাটি নরম থাকতেই পুতুল গড়তে হয়।
-- তুমি কি করতে চাচ্ছ?
-- ওকে একটা পরীক্ষা দিতে হবে। আমার গার্মেন্টসের একটা গেঞ্জি ওকে বিক্রি করতে হবে।
-- ওকে বাবা। মাত্র তো একটা! কোন ব্যাপারই না।
মনে রেখ এই একটা গেঞ্জির দাম ১০০০ টাকা। এটা শুধুমাত্র বিদেশেই রপ্তানি করা হয়। এই গেঞ্জি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তবেই ঘরে ফিরবে।
-- তুমি কোন চিন্তাই করো না বাবা।

আমি রুমে গিয়েই ঘুম! সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি। মাত্র তো একটা গেঞ্জি , বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পত্তির দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়ে উঠতেছি।

পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল। যেখানে ১০ টার আগে ঘুম থেকেই উঠিনা সেখানে ৭ টায়। 

ইস্ত্রি করা শার্ট, প্যান্ট পরে, দামী বডি স্প্রে মেখে একে বারে ফুল বাবু সেজে গেঞ্জি বিক্রি করতে বের হয়ে গেলাম। অথচ কোথায় বিক্রি করবো, কার কাছে বিক্রি করবো কোন আইডিয়া নাই।
ফুটানি দেখিয়ে তো বাবাকে বললাম কোন ব্যাপারই না। ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা মাঝ সমুদ্রে এসে পরলাম। 
কি যে করি?

রাস্তায় দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চারা বাসে উঠে আমড়া বিক্রি করছে। আমিও একটা বাসে উঠে পড়লাম। খুবই সুন্দর করে সাধু ভাষায় বাসের সবাইকে বললাম,
ভাইয়া এটা একটা দামী গেঞ্জি একমাত্র বিদেশেই রপ্তানি হয়। দাম মাত্র ১০০০ টাকা। মাত্র এক পিস আছে। যে আগে টাকা দিবেন সেই নিতে পারবেন।
এতো সুন্দর করে বলার পর মাত্র দাম বললো ১০০ টাকা!
এভাবে অনেকক্ষন চেষ্টা করে অবশেষে বুঝতে পারলাম এতো দামী গেঞ্জির কাস্টমার বাসে পাওয়া যাবেনা।
এদিকে দুপুর হয়ে গেছে। খিদেয় পেট ব্যাথা করছে। ট্যাপ থেকে পানি খেলাম। পকেটে একটা টাকাও নেই। অথচ অন্যদিন ফাইভস্টার হোটেলের খাবার ছাড়া আমার রুচিই আসেনা।
 
আমি শিল্পপতি নাজিম চৌধুরীর ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা।
এবার ঢুকলাম শপিং মলে। দোকানে দোকানে গিয়ে আবার সুন্দর করে বললাম। সবাই শুধু শুনলো। কেউ কিনলনা।
বললো এইসব নিশ্চয়ই চুরির মাল। ধরে মাইর লাগা। বলতে দেরী হলো দুইজন এসে আমাকে মারলো। মেরে রক্তাক্ত করে দিলো। গেঞ্জিটাও কেও একজন নিয়ে নিলো।
ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। পেটে প্রচণ্ড খিদে। গেঞ্জিটাও গেল। কোন মুখে বাবার সামনে দাড়াবো?
শোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম। শরীরে একটা ফুলের টোকাও লাগতে দেয়নি বাবা মা। আর আজকে আমার সাড়া শরীরে আঘাত। ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরছে। চোখ দিয়ে কান্না চলে আসলো। রাস্তায় ধূলো ধূলোমাখা পথে বসে আছি। অথচ এসি রুম ছাড়া ঘুমাই না।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আর পারছি না। প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে গেলাম। আজকে শরীরও যেন আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ব্যর্থ মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম।

বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে চাইলাম,
কিন্তু এই ময়লা শরীরে জড়িয়ে ধরার সাহসটুকুও হলোনা। দূরে থেকে ফ্লোরে বসে কাঁদতে কাঁদতে বললাম 
-- আমি পারিনি বাবা। 
ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, রক্তাক্ত শরীর দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমায় জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিবে।

কিন্তু না! বাবা এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো 
-- পারলে না তো। উল্টো গেঞ্জিটাও খোয়ালে! আমি জানতাম তুমি পারবেনা।
বাবার উপর খুব রাগ হচ্ছে। উনি কি সত্যিই আমার বাবা? এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। একজন নিষ্ঠুর বাবা। এরপরেও বললাম বাবা 
-- আমি সারাদিন অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি বাবা। আমি তোমার যোগ্য সন্তান নই বাবা। আমি কেঁদে ফেললাম। 
-- তুমিতো মাত্র কয়েকটা ঘন্টা কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।

বাবা এখনো আমাকে ধৈর্য্য ধরার জন্য বলছেন। বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমাকে বললো,

-- দেখ নাবিল তুমি সারাদিন চেষ্টা করে একটা গেঞ্জি বিক্রি করতে পারো নি। উল্টো মানুষের মার খেয়ে এসেছ।
তাহলে একবার ভেবে দেখো এই যে কোটি টাকার সম্পত্তি এসব উপার্জন করতে আমার কত কষ্ট করতে হয়েছে। আর বিনা উপার্জনে আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো?
আমার উপার্জনের একটা টাকাও যদি নষ্ট হয় আমার কি পরিমাণ কষ্ট হয় বুঝতে পেরেছ?
-- বাবা আমি সব বুঝতে পেরেছি। আমাকে তুমি ক্ষমা‌ করে দাও। 
-- তুমার এই অবস্থা দেখে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এই কষ্টটা তোমার জীবনের জন্য প্রয়োজন ছিল। আর তুমি যে এটা বুঝতে পেরেছ তা একজন পিতার কাছে সবচেয়ে গর্বের একটা প্রাপ্তি, আনন্দের উপহার।

বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম -- বাবা আমার টাকা লাগবে না। আমি এতো দিন পড়াশোনা কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ বাবাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

নাবিল সাহেবের চোখে পানি চলে এসেছে। আমি টিস্যু পেপার টা  এগিয়ে দিলাম।

-- বাবা আমাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। তারপর বাবার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব আমাকে দিয়ে ওপরে চলে গেছেন।
-- নাবিল সাহেব আপনি অনেক সৌভাগ্যবান। আপনার বটবৃক্ষের মতো বাবা ছিলো।
আমার বাবা তো অনেক ছোটবেলাই মারা গেছেন। মুখটাও মনে নেই।
সব বাবারাই হয়তো এমন হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন একজন আদর্শ বাবাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
নাবিল সাহেব আজকে আমার উঠতে হবে।
-- চলে যাবেন? এতো তাড়াতাড়ি?
-- বিকেলে একটু কাজ আছে।

আমি নাবিল সাহেবের অফিস থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বাবার মুখটা দেখার বৃথা চেষ্টা করলাম!
ভালো থেকো বাবা।।।

লেখকঃ সাইফুল ইসলাম

Comments

Popular posts from this blog

প্রত্যাবর্তন

প্রত্যাবর্তন আজ আমার ছাত্রী রিমির বিয়ে। বাসায় গিয়ে পড়াতাম একটানা ৫ বছর। এখন অর্নাস সেকেন্ড ইয়ার। ছেলে বিসিএস ক্যাডার। হাতছাড়া করেনি পরিবার। রিমি ছোট্র একটা মেসেজ দিয়েছে আমাকে,,,,এই বিয়েতে আমার মত নেই। আমি আর কি বলবো।  ভালো কোন পাঙ্জাবিও নেই আমার। মেসমেট জহিরের পাঙ্জাবিটা নিয়ে গায়ে চাপালাম। খুব যে মানিয়েছে তা বলা যাবেনা। চশমা খুজছি। চোখে দিলাম।  যখন ওদের বাড়িতে গেলাম,দেখলাম ৪ তলা বাড়িটা নিয়ন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়িতে কতশত মেহমান। ধনীদের সাথে নিজেকে মানানোটা বড্ড কঠিন। রাত প্রায় ১০ টা বাজতে চলল।  ক্ষুধা লেগেছে একটু। এক টেবিলের কোনে বসলাম।  হঠাৎ রিমি এসে আমার হাত ধরেছে,,,,কুৃত্তার বাচ্চা আমারে অন্য ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তুই গিলছিস।  ওঠ আজকে তোরে খুন করবো।  এই রিমিকে আমি কখনও দেখিনি,,,শুনেছি বড্ড রাগী।  আমিতো অবাক,,,রিমির সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক নাই।  আমি বললাম,,,কি বলছো এসব তুমি। আমি কি করলাম। থামো রিমি, বাড়ি ভর্তি মেহমান। এই কুত্তা তুই জানিস না আমি তোরে পছন্দ করি।  আমি তোকে ছাড়া বাচবোনা। তুই আমাকে কখনও বুঝেছিস। এই ছুড়ি দিয়ে আজ তোরে আমি খুন করবো। ততক্ষনে বাড়ির সব মেহমান চলে এসেছে। র...

ইন্ডিকেটর লাইটের ব্যবহার

ইন্ডিকেটর লাইটের ব্যবহারঃ  আমরা যে কোন যানবাহন ই রাইড করি না কেন আশেপাশের যানবাহনের ড্রাইভারের সাথে আমাদের কমুনিকেট করার প্রধান মাধ্যম ইন্ডিকেটর। আজকেই বাইকবিডিতে এই ইন্ডিকেটরের সিগনাল না বোঝার কারনে একজন R15 ইউজারের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পোস্ট দেখলাম, আল্লাহ সহায় নইলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমাদের ধারণা শুধু পিকাপ মুচড়াইতে পারলে আর বাউলি মারতে পারলে সে প্রো রাইডার (আসলে মাথা মোটা রাইডার)। নিরাপদ রাইডিং এর জন্য বাইক চালানোর সাথে সাথে রোড সিগলাল, বিভিন্ন ধরনের সংকেত, গতি নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী।  আজকে শুধু ওভারটেকিং এর সময় ইন্ডিকেটর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবোঃ মেনে চললে আপনি ই লাভবান হবেন- ১. আপনার সামনে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার যাই থাকুক যদি সে ডানে ইন্ডিকেটর দেয়, আপনি কোনভাবেই তাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করবেন না, এই ইন্ডিকেটরের অর্থ বিপরীত দিকে অবস্টেকল আছে অথবা ঐ গাড়ি তার সামনের গাড়িকে ওভারটেক করতে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে আপনি ওভারটেক কর‍তে যাবেন না। ২. আপনি ওভারটেক করার জন্য সামনের গাড়িকে হর্ন অথবা পাস লাইট দিলেন, তখন সে যদি বামে ইন্ডিকেটর দেয় তখন আপনি...

রমাদান_রুটিন

রমাদান_রুটিন পুরো রমজান হয়তো ঘরে বসেই কাটাতে হবে । অন্যভাবে দেখলে এরকম রমজান জীবনে আর নাও পেতে পারি । হ্যা, আমরা চাইলেই খুব খারাপ এ সময়টাকে বাকি জীবন আর মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য সেরা সুযোগ হিসেবে নিতে পারি ।  সহীহ হাদিসে নবী সা: বলেছেন, আল্লাহর অভিশাপ তার উপর, রমজান চলে গেল অথচ যে ক্ষমা নিতে পারলো না ।  আসুন একটা রুটিন করে ফেলি । পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য তো কম রুটিন করি নাই, আসলে টার্গেট ছাড়া কিছুই অর্জন হয় না । আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি, পছন্দ না হলে আপনি আপনার মত শোধরে নিবেন । তবুও এমন যেন না হয় কোন টার্গেট ছাড়া ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে একটা রমজান চলে গেল । ব্যক্তিগত : ১. সুরা ফীল থেকে নাস । আমরা সবাই কম বেশী জানি । কিন্তু শুদ্ধ উচ্চারণ আর বাংলা অর্থ জানি না, এমন সংখ্যাটাই আমাদের মাঝে বেশী। এ কারণেই আমরা নামাজের মজাটা পাই না । মন দৌড় দেয় এদিক সেদিক ।  ২. AlQuran(Tafsir & by Word) । খুব ভাল একটা অ্যাপস । আজই নামিয়ে নিন । এই রমজানে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট হলেও অর্থ সহ কোরআন পড়বো । প্রতিদিন দশটা করে হাদিস পড়বো । অ্যাপস নামিয়ে বুখারী দিয়ে শুরু করি । Bangla Hadith খুব ভাল একটা অ্যাপ...