Skip to main content

Posts

ইন্ডিকেটর লাইটের ব্যবহার

ইন্ডিকেটর লাইটের ব্যবহারঃ  আমরা যে কোন যানবাহন ই রাইড করি না কেন আশেপাশের যানবাহনের ড্রাইভারের সাথে আমাদের কমুনিকেট করার প্রধান মাধ্যম ইন্ডিকেটর। আজকেই বাইকবিডিতে এই ইন্ডিকেটরের সিগনাল না বোঝার কারনে একজন R15 ইউজারের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পোস্ট দেখলাম, আল্লাহ সহায় নইলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমাদের ধারণা শুধু পিকাপ মুচড়াইতে পারলে আর বাউলি মারতে পারলে সে প্রো রাইডার (আসলে মাথা মোটা রাইডার)। নিরাপদ রাইডিং এর জন্য বাইক চালানোর সাথে সাথে রোড সিগলাল, বিভিন্ন ধরনের সংকেত, গতি নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী।  আজকে শুধু ওভারটেকিং এর সময় ইন্ডিকেটর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবোঃ মেনে চললে আপনি ই লাভবান হবেন- ১. আপনার সামনে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার যাই থাকুক যদি সে ডানে ইন্ডিকেটর দেয়, আপনি কোনভাবেই তাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করবেন না, এই ইন্ডিকেটরের অর্থ বিপরীত দিকে অবস্টেকল আছে অথবা ঐ গাড়ি তার সামনের গাড়িকে ওভারটেক করতে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে আপনি ওভারটেক কর‍তে যাবেন না। ২. আপনি ওভারটেক করার জন্য সামনের গাড়িকে হর্ন অথবা পাস লাইট দিলেন, তখন সে যদি বামে ইন্ডিকেটর দেয় তখন আপনি দেখেশুনে
Recent posts

প্রত্যাবর্তন

প্রত্যাবর্তন আজ আমার ছাত্রী রিমির বিয়ে। বাসায় গিয়ে পড়াতাম একটানা ৫ বছর। এখন অর্নাস সেকেন্ড ইয়ার। ছেলে বিসিএস ক্যাডার। হাতছাড়া করেনি পরিবার। রিমি ছোট্র একটা মেসেজ দিয়েছে আমাকে,,,,এই বিয়েতে আমার মত নেই। আমি আর কি বলবো।  ভালো কোন পাঙ্জাবিও নেই আমার। মেসমেট জহিরের পাঙ্জাবিটা নিয়ে গায়ে চাপালাম। খুব যে মানিয়েছে তা বলা যাবেনা। চশমা খুজছি। চোখে দিলাম।  যখন ওদের বাড়িতে গেলাম,দেখলাম ৪ তলা বাড়িটা নিয়ন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়িতে কতশত মেহমান। ধনীদের সাথে নিজেকে মানানোটা বড্ড কঠিন। রাত প্রায় ১০ টা বাজতে চলল।  ক্ষুধা লেগেছে একটু। এক টেবিলের কোনে বসলাম।  হঠাৎ রিমি এসে আমার হাত ধরেছে,,,,কুৃত্তার বাচ্চা আমারে অন্য ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তুই গিলছিস।  ওঠ আজকে তোরে খুন করবো।  এই রিমিকে আমি কখনও দেখিনি,,,শুনেছি বড্ড রাগী।  আমিতো অবাক,,,রিমির সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক নাই।  আমি বললাম,,,কি বলছো এসব তুমি। আমি কি করলাম। থামো রিমি, বাড়ি ভর্তি মেহমান। এই কুত্তা তুই জানিস না আমি তোরে পছন্দ করি।  আমি তোকে ছাড়া বাচবোনা। তুই আমাকে কখনও বুঝেছিস। এই ছুড়ি দিয়ে আজ তোরে আমি খুন করবো। ততক্ষনে বাড়ির সব মেহমান চলে এসেছে। র
স্টুডেন্টের বড় বোন আমার সামনে এককাপ চা আর দুটি বিস্কুট টেবিলের উপর রেখে চলে গেলেন। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় বাসায় চলে আসছে। যেমন রূপবতী ঠিক তেমন গুণবতীও বটে। -আজকের চা সত্যিই দারুণ হইছে। আজকে চা কে করলেন? (স্টুডেন্টের উদ্দেশ্যে) - স্যার আজকে আম্মু বাসায় নাই। তাই আজকে আপুই চা করছে। - মাশাল্লাহ, তার রান্নার হাত ভালো। এরপর থেকে তাকেই চা করতে বলবা, যতদিন সে এই বাসায় আছে।  ভেতর থেকে স্টুডেন্টের বোন- লাভ নাই, রান্নার হাত দেখানো যাবে না। কি বাজে অবস্থার মধ্যেই না পড়লাম। লজ্জায় স্টুডেন্টের দিকে তাকাতে পারছিনা। - স্যার চা খান, ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। - আচ্ছা! আর তুমি দ্রুত লেখা শেষ কর। আজকের পর থেকে তোমার দুই/তিন ঘন্টার আগে ছুটি নাই। সুন্দরী বোন থাকলে এক ঘন্টার যায়গায় দুই/তিন ঘন্টা পড়ালেও লোকসান নাই। প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টের বোনের হাতের চা খেয়ে যাচ্ছি, আর স্টুডেন্টকে দুই/তিন ঘন্টা করে পড়াচ্ছি। বাহ! আজকে দেখছি চা-বিস্কুটের সাথে নুডলস ও দিয়েছে। নুডলস আমার পছন্দের খাবারের একটি। - স্যার নুডলস কেমন হইছে? - মাশাল্লাহ! অনেক সুস্বাদু। - স্যার আজকে বাসায় মেহমান আসাতে নুডলস করা হইছে। মেহমানদের দেওয়ার পরে যেটুকু অবশিষ

কাঁচের_পুতুল (কাল্পনিক) #রিপোস্ট #লিখা- Nusrat Khan Ani

- তোমার শ্বশুর মনে হয় তোমার দিকে কুনজর দেয়, তাই না মাধবী? শাফিন কে চা দিয়ে তাড়াহুড়ো করে শাড়ির আঁচলে হাত মুছতে মুছতে রান্নাঘরের দিকে ছুটে যাচ্ছিলাম আবার,কিন্তু থমকে গেলাম শাফিনের উদ্ভট প্রশ্ন শুনে। পেছন ফিরে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম, - মানে? কিসব আবোলতাবোল বলতেছো? চায়ের কাপে দ্বিতীয় চুমুক দিয়ে শাফিন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো, - নাইলে দুপুরবেলা সবার প্লেটে ভাত তুলে দিতে পারছো,শুধু বাবার প্লেট ছাড়া। কেন? আমার বাপের সামনে যাইতে কি তোমার অস্বস্তি হয়? - ওমা! বাবা-ই তো বললেন,উনি নিজের হাতে নিতে পারবেন। তাই আমিও... আমার পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই চায়ের কাপটা টেবিলের উপর ধাম করে রেখে শাফিন চেঁচাতে শুরু করলো, - এই থামো তো। বিয়ের পর থেকে দেখতেছি,আমার বাপ-মা'রে তো তুমি মানুষ হিসাবেই গণ্য করো না। কতবার বলছি না,আমি আমার বাপ-মা'র অপমান সহ্য করতে পারি না একদম? - তুমি এইভাবে কেন কথা বলতেছো শাফিন? কি করছি আমি? বাবা তো সবসময় ই নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন।আমি কিছু করতে গেলে বিরক্ত হন। তারপরও তোমার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জোর করে বাবার অনেক কাজ করে দিই। এজন্য বাবা আমার প্রতি অসন্তুষ্ট থাক

রমাদান_রুটিন

রমাদান_রুটিন পুরো রমজান হয়তো ঘরে বসেই কাটাতে হবে । অন্যভাবে দেখলে এরকম রমজান জীবনে আর নাও পেতে পারি । হ্যা, আমরা চাইলেই খুব খারাপ এ সময়টাকে বাকি জীবন আর মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য সেরা সুযোগ হিসেবে নিতে পারি ।  সহীহ হাদিসে নবী সা: বলেছেন, আল্লাহর অভিশাপ তার উপর, রমজান চলে গেল অথচ যে ক্ষমা নিতে পারলো না ।  আসুন একটা রুটিন করে ফেলি । পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য তো কম রুটিন করি নাই, আসলে টার্গেট ছাড়া কিছুই অর্জন হয় না । আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি, পছন্দ না হলে আপনি আপনার মত শোধরে নিবেন । তবুও এমন যেন না হয় কোন টার্গেট ছাড়া ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে একটা রমজান চলে গেল । ব্যক্তিগত : ১. সুরা ফীল থেকে নাস । আমরা সবাই কম বেশী জানি । কিন্তু শুদ্ধ উচ্চারণ আর বাংলা অর্থ জানি না, এমন সংখ্যাটাই আমাদের মাঝে বেশী। এ কারণেই আমরা নামাজের মজাটা পাই না । মন দৌড় দেয় এদিক সেদিক ।  ২. AlQuran(Tafsir & by Word) । খুব ভাল একটা অ্যাপস । আজই নামিয়ে নিন । এই রমজানে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট হলেও অর্থ সহ কোরআন পড়বো । প্রতিদিন দশটা করে হাদিস পড়বো । অ্যাপস নামিয়ে বুখারী দিয়ে শুরু করি । Bangla Hadith খুব ভাল একটা অ্যাপ

মেয়ে #আবুল_বাশার_পিয়াস

আমি মেয়ে হয়ে এত দূরে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবো সেটা আমার পরিবার সহজে মেনে নিলেও  আমার আশেপাশের মানুষ আত্বীয়- স্বজন বিশেষ করে আমার চাচা-চাচী একদম মেনে নিতে পারে নি। সেদিন বিকালে বড় চাচা বাবাকে রুমে ডেকে বললো,   ~শুনলাম তুই না কি তোর মেয়েকে ময়মনসিংহে ভর্তি করিয়েছিস?  বাবা হাসি হাসি মুখে চাচাকে বললো, - হ্যাঁ ভাইজান, তুমি তো জানোই শ্রাবণী ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।  তাই ওখানেই ওকে ভর্তি করিয়েছি।    চাচা মুখটা গম্ভীর করে বললো, ~তা তোর মেয়ে থাকবে কোথায়?  বাবা বললো, - কোথায় আর,  হোস্টেলেই থাকবে।  চাচা কিছুটা রেগে গিয়ে বাবাকে বললো,   - আমাদের বংশের কোনো মেয়ে  একা একা হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করে নি।  আমারও তো মেয়ে আছে। আমার মেয়েকে তো আমাদের গ্রামের ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি। তোর মেয়ের এত পড়াশোনার শখ যেহেতু, সেহেতু আমাদের গ্রামের ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারতি!  বাবা মুচকি হেসে চাচাকে বললো,   - তোমার মেয়ে এতটা ভালো ছাত্রী ছিলো না তাই ডিগ্রিতে ভর্তি করিয়েছো।  চাচা বাবার কথা শুনে আরো রেগে গিয়ে বললো,   ~মেয়ে তোর, এখন তুই মেয়েকে ঘরে রাখবি না কি বাংলা  বাজারে ছেড়ে দিবি এটা ত
একটি বিয়ের গল্প ...  দুহাত ভরা মেহেদি ত্রপার হাতে । বাড়িতে পুরা সাজ সাজ রব । সব আত্মীয় স্বজন এসে পড়েছে । পরিবেশটার মধ্যেই যেন কেমন আনন্দ আনন্দ ভাব । ত্রপা ওর হাতের দিকে তাকিয়ে আছে । ওর বড় বোন খুব যত্ন করে ওর হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছে । আগে মেহেদি দিলেই ত্রপার চিন্তা হতো মেহেদি বেশি লাল হবে তো ? কিন্তু আজ মেহেদি এতো লাল হয়েছে তবুও ত্রপার মনে কোন আনন্দ নেই । সামনে দুইটা শাড়ি । একটা লাল আর একটা গারো নীল । সবাই বলছে লাল শাড়ি পরতে কিন্তু ত্রপার ইচ্ছা করছে নীলটা পরার । হয়তো নীলের মধ্যে আলাদা কোন আকর্ষণ আছে ওর । ৪ সেট গয়নার বাক্স সামনে পরে আছে । কাজিনরা সবাই দেখছে কোনটা পড়লে বেশি ভালো লাগবে ওকে । কিন্তু ত্রপার যেন কিছুতেই খেয়াল নেই । কি যেন ভাবছে ও । বুঝছো বালিকা অনেক ভেবে দেখলাম তোমাকে বিয়ের দিন নীল শাড়িতেই বেশি সুন্দর লাগবে । দুহাত ভরা চুড়ি থাকবে । এই তুমি কিন্তু বেশি সাজবা না । এমনেই এতোগুলা সুন্দর তুমি পরে বিয়ের দিন তোমার ক্রাশ লিস্ট বেড়ে যাবে, বলতে বলতে হাসতে থাকে নিভৃত । যাহ কি যে বলেন না আপনি, বিয়ের দিন কেউ নীল পড়ে ? আমি তো ভাবছি বিয়ের দিন লাল পড়বো আর বউ ভাত এর দিন পড়বো সাদা গাউন । কেমন